ডেস্ক : ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো তা সবার জানা। তবে প্রায় সকলেরই নজর থাকে শুধু ফলের ভেতরটার দিকে। ফলের ওপরের খোসা ছাড়িয়ে তা ফেলে দেয়া হয় ডাস্টবিনে, যা খুব বড় ভুল। কারণ খোসাতেই রয়েছে আসল পুষ্টি বা খাদ্য উপাদান।
কোন ফলের খোসায় কি কি পুষ্টি গুনাগুন আছে, জেনে নিন-
১। কমলার খোসাঃ কমলার খোসা সরাসরি খাওয়া সম্ভব নয় তা ঠিক, তবে রান্না করার সময় সহজেই তা ব্যবহার করা যায়। এমনকি কমলার খোসাগুলো শুকিয়ে রেখে তা সারা বছর চায়ের মতো পানীয় হিসেবেও কাজে লাগানো যায়। এতে সুগন্ধ ছাড়াও যথেষ্ট ভিটামিন সি থাকে।
২। আপেলঃ আপেলের খোসায় থাকে প্রচুর ভিটামিন। তবে আপেলকে লোভনীয় ও আকর্ষণীয় দেখানোর জন্য অনেকক্ষেত্রেই নানা রকম রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই আপেল ভালো করে ধুয়ে-মুছে খাওয়া উচিত।
৩। আমের খোসাঃ নানা স্বাদের, নানা রঙের এবং বিভিন্ন সাইজের রসালো, মজার আম খেয়ে বাঙালিরা অভ্যস্ত, তবে অবশ্যই খোসা ছাড়া। আমের খোসা বা চামড়া সরাসরি খাওয়া না গেলেও আমের চাটনি বা রস কিন্তু বাড়তি ভিটামিন গ্রহণের জন্য সহজেই খোসাসহ খাওয়া যায়।
৪। অ্যাভোকাডোঃ অ্যাভোকাডোর খোসায় রয়েছে প্রচুর অ্যামিনো অ্যাসিড ও মিনারেল। আরো আছে ভিটামিন এ, সি, ডি, কে, ই এবং ফ্যাটি অ্যাসিড। এই ফলের খোসা সরাসরি খাওয়া না গেলেও বেক করে কিংবা ভেজে ভালোভাবেই খাওয়া যায়।
৫। কিউয়িঃ কিউয়ির অপর নাম ভিটামিন সি বোমা, যার আসল জন্ম নিউজিল্যান্ডে। কিউয়ির খোসায় রয়েছে প্রচুর আঁশ, যা পেটের সমস্যা দূর করে হজমে সাহায্য করে। কিউয়ির খোসা খাওয়ার আগে অবশ্যই ফলের ওপরের চুলগুলো ছোট্ট ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করে নিবেন।